ঢাকা: লক্ষীপুরের রামগঞ্জ থানায় এক ব্যাক্তিকে নির্যাতনের অভিযোগে তিন পুলিশসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে বিচারিক আদালতের আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ইকবাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর।
রামগঞ্জের সাইফুল ইসলাম সুমন নামের এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগে তার বাবা শামসুন নূর পাটোয়ারি নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩ এর ১৩ এবং ১৫ (১) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ১২ আগস্ট লক্ষীপুর জেলা দায়রা জজ আদালতে এ নালিশি মামলা করা হয়।
মামলায় রামগঞ্জ থানার ওসি লোকমান হোসেন, উপ-পরিদর্শক শরীফ ও মোমিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার পুলিশ ব্যারাকের দ্বিতীয় তলার মাঝখানে নিয়ে আটক সুমনকে নির্যাতন করা হয়। এ সময় ওসি লোকমান সুমনের চোখে সিরিঞ্জ দিয়ে তরল পদার্থ বের করেন ও সিরিঞ্জ দিয়ে চোখের মনি নষ্ট করে দেন।
এরপর অস্ত্র আইনে করা একটি মামলায় সেদিন সুমনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলাটির বিচারিক তদন্তের জন্য ২০১৪ সালের ০১ সেপ্টেম্বর দায়রা আদালত লক্ষীপুরের ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠান। তদন্ত শেষে ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট দায়রা আদালতে অভিযোগ সত্য নয় বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এরপর ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর দায়রা জজ আদালত তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সুমনের বাবার অভিযোগ খারিজ করে দেন।
এ খারিজাদেশের বিরুদ্ধে নুর পাটোয়ারি ২০১৫ সালে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হয়।
আইনজীবী মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ওই মামলা খারিজ করে দায়রা জজ আদালতের দেওয়া আদেশ হাইকোর্ট বাতিল ঘোষণা করেছেন। এর ফলে তিন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে বাদীর করা মামলাটি চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৬
ইএস/এএসআর