বাগেরহাট: সুন্দরবনে হরিণ শিকারের দায়ে ছয় জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) রাতে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতুল মণ্ডল এ আদেশ দেন। রোববার সকালে তাদের বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন-খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালি গ্রামের মো. নকিম উদ্দিন সরদারের ছেলে মো. জাফর সরদার (২৩), একই এলাকার সোহরাব মোল্লার ছেলে মো. আসিকুর মোল্লা (২৩) ও হাফিজুর মোল্লা (৩০), ইউনুস শেখের ছেলে রিপন শেখে (২৮), মোস্তক শেখের ছেলে শুকুর আলী শেখ (২৫) ও হালিম শেখের ছেলে শামিম শেখ (২২)।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের কোকিলমুনি টহল ফাঁড়িরে কাছে ‘তিন কোনা দীপ’ থেকে দু’টি নৌকাসহ তাদের আটক করে বন বিভাগ।
কোকিলমুনি টহল ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন জানান, এক সপ্তাহ খানেক আগে সুন্দরবনের ঢাংমারী স্টেশন থেকে কাঁকড়া আহরণের পাস নিয়ে দু’টি নৌকাসহ ১১ জেলে বনের মধ্যে যান। শুক্রবার কোকিলমুনি এলাকায় নিয়মিত টহলের সময় বন কর্মীরা ওই নৌকা দু’টিতে তল্লাশি চালায়। এসময় নৌকা দু’টিতে সুন্দরবন থেকে শিকার করা হরিণের দুই কেজি মাংস ও হরিণ শিকারের ফাঁদ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এক নৌকার ছয় জেলেকে আটক করা হয়। তবে এসময় বাকি পাঁচ জেলে গহীন বনে পালিয়ে যান।
আটক ছয়জনকে শনিবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদলতে হাজির করলে বিচারক তাদের এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কামাল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে হরিণ শিকারের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
এসআই