ঢাকা: সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে চার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (০৮ মে) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অমিত দাশগুপ্ত।
তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণের রুল ছাড়াও বিদ্যুৎ সংযোগে অনিয়ম, ত্রুটি ও মানুষের জীবন রক্ষায় ব্যর্থতার কারণে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না ও নিরাপদ বিদ্যুৎ লাইন সংরক্ষণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নেত্রকোনা জোনের জেনারেল ম্যানেজার ও মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অমিত দাশগুপ্ত জানান, গত ২৬ এপ্রিল সুনামগঞ্জের উত্তর ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানার চামারদানি ইউনিয়নের রামদিঘা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়।
তারা হলেন- রঞ্জিত সরকার (৪৫), স্ত্রী রীতা সরকার (৩৫), মেয়ে সোনালী সরকার (১০) ও রঞ্জিত সরকারের বাবা জগদীশ সরকার (৭০)।
পুলিশের দাবি, বাড়ির উঠানে বসে বাড়ির মালিক রঞ্জিত সরকারসহ এক পরিবারের চারজন মুড়ি খাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ উঠানের ওপরে থাকা বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে তাদের গায়ের ওপর পড়ে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। মরদেহ চারটি ময়না তদন্ত ছাড়াই দাহ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার মাত্র এক মাস আগে ওই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল।
অমিত দাশগুপ্ত বলেন, ২৭ এপ্রিলের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ সংযোগে ত্রুটি ও অনিয়ম থাকার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে গত ০২ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী চঞ্চল বিশ্বাস হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৬
ইএস/এএটি/এএসআর