ঢাকা: চাঁদপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকনাবিহীন সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে মৃত শিশু আছমা আক্তার পাখির পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১৫ মে)এ রুল জারি করেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রিট আবেদনকারী ব্যারিস্টার আবদুল হালিম নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘সেপটিক ট্যাঙ্কিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু’ ও ‘বিআইডব্লিউটিএর সেপটিক ট্যাংকে পড়ে শিশুর মৃত্যু’ শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওইসব প্রতিবেদনে বলা হয়, চাঁদপুরের বিআইডব্লিউটিএ’র গাফিলতিতে বাথরুমের সেপটিক ট্যাঙ্কিতে পড়ে আছমা আক্তার পাখি (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটায় সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদপত্রে ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) রিট আবেদন দায়ের করেন চিল্ড্রেনস চ্যারেটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (সিসিবি ফাউন্ডেশন) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আবদুল হালিম।
তিনি জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকনাবিহীন সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে মৃত শিশু আছমা আক্তার পাখির পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও মর্মান্তিক ওই ঘটনায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা, বর্থ্যতা ও অবহেলাকে কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, নৌ-পরিবহন সচিব, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক (পোর্ট), চাঁদপুরের পুলিশ সুপার, চাঁদপুর সদর থানার ওসিসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরবর্তী আদেশের জন্য বিষয়টি আগামী ৩০ অক্টোবর আদালতের কার্যতালিকায় আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৬
ইএস/এএসআর