ঢাকা: বিচারক নিয়োগে আদালত সরকারকে আইন বা বিধিমালা করতে নির্দেশ দিতে পারেন বলে মত দিয়েছেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ।
বিচারক নিয়োগের নীতিমালার বিষয়ে জারি করা রুল শুনানিতে রোববার (১২ জুন) অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে এমন মত দেন তিনি।
এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘সংবিধানের ৯৫ (২) (গ) অনুচ্ছেদ অনুসারে বিচারক নিয়োগের যোগ্যতা আইনের দ্বারা নির্ধারিত হবে। নিয়োগের কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতি। তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়োগ দেবেন। এ বিষয়ে সরকারকে আইন বা বিধি করতে আদালত নির্দেশ দিতে পারেন’।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রুলের শুনানি চলছে।
বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দিক-নির্দেশনা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালের ৩০ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী এ রিট দায়ের করেন।
এ রিটের শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ০৬ জুন বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে বাছাই প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা’ আনতে কেন সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা তৈরি করা হবে না- তা জানাতে রুল জারি করেন।
ওই সময় হাসান এম এস আজিম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা আনতে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে, যাতে সকলে অংশ নিতে পারেন।
পরে রিট মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ছিলো। ওই বেঞ্চ সাতজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন। তারা হলেন- ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও এ এফ হাসান আরিফ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৬
ইএস/এএসআর