নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলায় র্যাবের আরো দুই সদস্যের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত নূর হোসেনসহ ২৩ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণে সহায়তা করেন।
সাক্ষ্যে এসআই পলাশ গোলদার জানান, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি র্যাব-১১ এর ডিএডি আবদুস সালাম শিকদারের নেতৃত্বে টহল টিমে ছিলেন। সেদিন বেলা ১১টার দিকে তারা ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে চেকপোস্ট বসান এবং গাড়ি তল্লাশি শুরু করেন।
সাক্ষী বলেন, দুপুর ২টার দিকে সাদা ও কালো রঙের দু’টি গাড়ি আমাদের প্রায় একশ’ গজ সামনে এলে গাড়ি দু’টিকে ওভারটেক করে নীল রঙের মাইক্রোবাস গাড়িটির সামনে এসে থামায়। তখন মেজর আরিফ স্যার ও তার সাথে থাকা সাদা পোশাকের লোকজন গাড়ি থেকে নেমে সাদা রঙের গাড়ির যাত্রীদের তার গাড়িতে তুলে নেন। পেছনের কালো রঙের গাড়ি থেকে এমএম রানা আরো দু’জন যাত্রীকে মাইক্রোবাসে তুলে নেন। পরবর্তীতে গণমাধ্যমে জানতে পারি যে, যাদের স্টেডিয়ামের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তারাই শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া ভিকটিম’।
অন্যদিকে কর্পোরাল জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি ২৭ এপ্রিল আদমজী ক্যাম্পে ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে থাকার সময়ে এএসপি মেহেদী স্যার ফোন করে জানান, তিনি ফোনে কাউকে পাচ্ছেন না। দ্রুত যেন দু’টি গাড়ি শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ঘাটে পাঠানো হয়। সে মোতাবেক আমি নির্দেশনা দেই’।
সাত খুনের ঘটনায় দু’টি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল হলেন নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা ও অপর বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি হলেন নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
দু’টি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী ১২৭ জন করে। এ কারণে উভয় মামলার সাক্ষীদের একই সঙ্গে দুই মামলায় জেরা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৬
এএসআর