ঢাকা: অবশেষে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন দুই জেল সুপারসহ সুপ্রিম কোর্টের এক অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড। বুধবার (১৫ জুন) ক্ষমা প্রার্থনার পর তাদেরকে সতর্ক করে অব্যাহতি দেন বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
অর্থপাচারের অভিযোগে গত ০২ জানুয়ারি রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এ মামলায় গত ৮ মে পাঁচ আসামিকে জামিন দেন হাইকোর্ট। গত ১৬ মে জামিননামা কারাগারে পৌঁছার পর দুই আসামিকে মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সুফিয়া খাতুনের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অপর তিন আসামি- গিয়াস উদ্দিন, আমিনুর রহমান ও ওসমান গণিকে মুক্তি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ। ওই চিঠিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষ জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন।
পরে আসামীপক্ষের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া ও আদিলুর রহমান খান বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন। এরপর গত ০৫ জুন হাইকোর্ট তাদেরকে তলব করেন। একইসঙ্গে জামিননামা দাখিলের পরও অর্থপাচার মামলার ৩ আসামির কারামুক্তি কোন কর্তৃত্ববলে বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে তা জানতে চান হাইকোর্ট।
এ তলবের প্রেক্ষিতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা ও অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড সুফিয়া খাতুন গত ০৯ জুন স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হন। ওইদিন আদালত তাদেরকে ১৩ জুন লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে ১৩ জুন লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ায় এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৫ জুন দিন ধার্য করেন।
আইনজীবীরা জানান, ক্ষমা চাওয়ার পর বুধবার আদালত তাদেরকে এ বিষয়ে সতর্ক করে অব্যাহতি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৬
ইএস/এএসআর