ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে হাইকোর্ট সাজা দেওয়ায় ‘স্তম্ভিত ও হতবাক’ হয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) অর্থপাচার মামলায় আপিলের রায়ে তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রায় ঘোষণার পর মাহবুব উদ্দিন খোকন আদালত চত্ত্বরে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘আমরা স্তম্ভিত, হতবাক, সমগ্র জাতি হতবাক’।
তিনি দাবি করেন, ‘তারেক রহমান বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় নাম। তাকে মিথ্যাভাবে আওয়ামী লীগ সরকার দুদককে দিয়ে এ মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় বিচারিক আদালতসহ কোথাও তারা প্রমাণ দিতে পারেনি, গিয়াস উদ্দিন মামুন এক টাকাও বিদেশে নিয়েছেন। তারপরও বিচারিক আদালত তাকে সাজা দিয়েছেন। আর তারেককে খালাস দিয়েছেন’।
তিনি বলেন, ‘এরপর দুদক আপিল করেছে। আজকে আদালতে দেখেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল, দুদকের কৌশুলি ও আওয়ামী লীগের সকল নেতা ছিলেন, বড় বড় নেতা (আইনজীবী) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আজকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও দুদকের কৌশুলিরা একাকার হয়ে গেছেন’।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন জানিয়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আপিল বিভাগে ন্যায়বিচার পাবো’।
অপর আইনজীবী জয়নুল আবেদীনও দাবি করেন, ‘তারেক রহমান কোনো অবস্থাতেই এ মামলায় জড়িত ছিলেন না। না থাকা সত্বেও তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে তার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তিনি নির্দোষ বলে প্রমাণিত হয়েছেন। এবং বিচারিক আদালত রায় দিয়েছেন। তাতে তিনি খালাস পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের কোনো কিছু পাননি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে’।
‘পরে ওই মামলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। আজ হাইকোর্ট খালাসের রায় বাতিল করে নতুন করে তাকে (তারেক) সাত বছরের দণ্ড দিয়ে জরিমানাও করেছেন’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে রায় হয়েছে, সেটা যথাযথভাবে হয়নি। এবং তারেক রহমান ন্যায়বিচার পাননি। কারণ, তিনি জড়িত ছিলেন না। মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা করে পূর্ণাঙ্গ রায় পেয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করবো’।
সব কিছুতেই তারেক রহমানকে নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তার দুই আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৬
ইএস/এএসআর