ঢাকা: এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নন এমপিও শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
৪৪ শিক্ষকের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২৫ জুলাই) এ রুল জারি করেন বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালকসহ ৯ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
আদেশের পরে ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেলন, ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নন এমপিও শিক্ষকদের নিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। যাতে উল্লেখ করা হয়, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক) শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রদান এবং জনবল কাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশিকা ২০১০-এ যাই থাকুক না কেন, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত শ্রেণি/বিভাগ খোলার ক্ষেত্রে নিযুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে’।
এ সার্কুলারের কারণে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তাই ওই সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রোববার (২৪ জুলাই) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৪ জন শিক্ষক হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ রুল জারি করেছেন বলে জানান ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৬
ইএস/এএসআর