ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠ-বস করানোর ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
তিনি বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন নায়ায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করেছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার’।
‘বৃহস্পতিবার হাতে লেখা ওই প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে নিয়ে আসে পুলিশ। ওই প্রতিবেদন টাইপ করে জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামী রোববার (০৭ আগস্ট) তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন। পরে প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করা হবে’- বলেন মোতাহার হোসেন।
ইসলাম ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে গত ১৩ মে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে বিদ্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ করে মারধর করা হলে তিনি আহত হন। পরে জনসম্মুখে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয় তাকে।
এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবর আদালতের নজরে আনেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহসিন রশিদ। এরপর আদালত স্বত:প্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা সংশ্লিষ্টদের আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে গত ০৯ জুন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় করা সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষিতে চলমান তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসিকে আদেশ নেন।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী ৭ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৬
ইএস/ওএইচ/এএসআর