ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

শিক্ষক লাঞ্ছনায় পুলিশের প্রতিবেদনের বিষয়ে আদেশ বুধবার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৬
শিক্ষক লাঞ্ছনায় পুলিশের প্রতিবেদনের বিষয়ে আদেশ বুধবার

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠ-বস করানোর ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা না পাওয়া সংক্রান্ত পুলিশের প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। আগামী বুধবার (১০ আগস্ট) এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাশের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রোববার (০৭ আগস্ট) প্রতিবেদনটি দাখিল করার পরে আদেশের এ দিন ধার্য করা হয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু জানান, এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন নায়ায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করেছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার। গত বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) হাতে লেখা ওই প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে নিয়ে আসে পুলিশ। ওই প্রতিবেদন টাইপ করে জমা দিতে বলার পর রোববার তারা প্রতিবেদন জমা দেন। পরে প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করা হলে আগামী বুধবার আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে অনুসারে শ্যামল কান্তি ভক্ত পুলিশের কাছে দেওয়া তার জবানবন্দিতে বলেন, ‘গত ১৩ মে সকালে বিদ্যালয়ে কান ধরে উঠ-বস করানো যে ঘটনা ঘটেছে তা আকস্মিক। আমি ও এমপি সেলিম ওসমান উদ্ভূত ঘটনায় পরিস্থিতিরি শিকার’।

এটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা উল্লেখ করে এতে কারও বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ নেই বলেও শ্যামল কান্তি ভক্তের জবানবন্দিতে উল্লেখ রয়েছে।
 
তবে ওই প্রতিবেদেনে শ্যামল কান্তির বক্তব্য বলে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা ‘বানোয়াট ও মিথ্যা’ বলে আদালতৈ দাবি করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আইনজীবী আবু ওবায়দুর রহমান।
 
তিনি আদালতে বলেন, ‘আসক থেকে শ্যামল কান্তি ভক্তের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, তদন্ত করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির শিকার উল্লেখ করে শ্যামল কান্তি ভক্ত পুলিশের কাছে এমন বক্তব্য দেননি’।
 
তখন আদালত আসকের আইনজীবীকে বলেন, ‘আপনারা যেহেতু আলাদা তদন্ত করেছেন, ওই তদন্ত প্রতিবেদন এফিডেভিট আকারে আগামী ১০ আগস্ট কোর্টে জমা দেবেন’।

ইসলাম ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে গত ১৩ মে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে বিদ্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ করে মারধর করা হলে তিনি আহত হন। পরে জনসম্মুখে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয় তাকে।

এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবর আদালতের নজরে আনেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহসিন রশিদ। এরপর আদালত স্বত:প্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা সংশ্লিষ্টদের আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
 
পরে গত ০৯ জুন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় করা সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষিতে চলমান তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসিকে আদেশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৬
টিএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।