ঢাকা: বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে গড়ে ওঠা ২১১ স্থাপনা ৬০ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসকের দেওয়া প্রতিবেদনের পর সোমবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পূরবী রানী শর্মা।
৬০ দিনের মধ্যে অপসারণ করে ১৩ নভেম্বর হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বরিশালের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন মনজিল মোরসেদ।
পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশে’র পক্ষে হাইকোর্টে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১২ সালের ৬ মার্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে সব ধরনের মাটি ভরাট, প্লট বরাদ্দ ও দখল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এছাড়া জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) সিএস ও আরএস রেকর্ড অনুযায়ী কীর্তনখোলা নদীর অবস্থান নির্ধারণে কমিটি গঠনের কথা বলা হয়।
জরিপের মাধ্যেমে নদীর প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ করে ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে কমিটির প্রতি নির্দেশ দেন আদালত।
জরিপ শেষে চলতি বছরের ৯ আগস্ট নদীর তীরে ২১১ অবৈধ স্থাপনা আছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেন জেলা প্রশাসক। এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে সোমবার এই আদেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৬
ইএস/এমএ