ঢাকা: ফাঁসির রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বুধবার (২৪ আগস্ট) সকাল পৌনে দশটায় এ শুনানি শুরু হয়।
প্রথমে রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন মীর কাসেম আলীর প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। এর আগে শুনানি পেছাতে তার আবেদন নামঞ্জুর করে শুনানি শুরুর আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। প্রস্তুতি নিতে পারেননি উল্লেখ করে ফের তিন সপ্তাহের সময়ের আবেদন জানিয়েছিলেন আসামিপক্ষ।
সময়ের আবেদনের শুনানিতে খন্দকার মাহবুব দাবি করেন, মীর কাসেম আলীর ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেম এ মামলার দেখাশোনা করেন। তাকে সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নামে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে কাছ থেকে মীর আহমেদ বিন কাসেমের কাছে থাকা মামলার কাগজপত্র ও শুনানির প্রস্তুতি নিতে পারেননি তিনি। এ কারণে শুনানি তিন সপ্তাহ পেছানো প্রয়োজন।
এ আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করে সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে শুনানি যেন বিলম্বিত না হয়, সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে খন্দকার মাহবুবকে বলেন আপিল বিভাগ।
এর আগে গত ২৫ জুলাই সময়ের আবেদন জানিয়ে একমাস পিছিয়ে নিয়েছিলেন খন্দকার মাহবুব। সেবারও শুনানির প্রস্তুতি নিতে পারেননি বলে উল্লেখ করে আবেদনে দু’মাস চেয়েছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে গত ০৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সংক্ষিপ্ত আকারে চূড়ান্ত রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। রায়ে শহীদ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনসহ ছয়জনকে হত্যা-গণহত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধের মূল হোতা মীর কাসেম আলীর।
গত ০৬ জুন ২৪৪ পৃষ্ঠার পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।
রায়টি রাতেই বিচারিক আদালতে গেলে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন বিচারিক আদালত ট্রাইব্যুনাল। এর পর পরই মৃত্যু পরোয়ানাসহ পূর্ণাঙ্গ রায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়, ঢাকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পরদিন ০৭ জুন সকালে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর কনডেম সেলে থাকা কাসেম আলীকে মৃত্যু পরোয়ানা ও পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ে শোনানো হয়।
এরপর গত ১৯ জুন ৬৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদন করেন মীর কাসেম আলী। এতে ফাঁসির রায় বাতিল করে খালাস ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আরজি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে আলবদর বাহিনীর তৃতীয় এই শীর্ষনেতা।
রিভিউ আবেদনে সর্বোচ্চ সাজার বিরুদ্ধে মোট ১৪টি যুক্তি দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৬
ইএস/এএসআর