ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

৬ নভেম্বরের মধ্যে বিচার কর্মকর্তাদের চাকরি আইন প্রণয়নের নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
৬ নভেম্বরের মধ্যে বিচার কর্মকর্তাদের চাকরি আইন প্রণয়নের নির্দেশ

ঢাকা:  আগামী ০৬ নভেম্বরের মধ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের চাকরি, বরখাস্তকরণের আইন প্রণয়ন করে তা গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

তবে এ আইন হতে হবে সুপ্রিম কোর্ট কমিটির সুপারিশ অনুসারে।

রোববার (২৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৯ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মাসদার হোসেন মামলার আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

১৯৮৯ সালে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কিছু পদের বেতন স্কেল বৃদ্ধি করা হয়। এতে অন্য ক্যাডারদের সঙ্গে অসঙ্গতি দেখা দেয়। ১৯৯৪ সালের ৮ জানুয়ারি এ অসঙ্গতি দূর করার জন্য সরকার জজ আদালতের বেতন স্কেল বাড়িয়ে দেয়। এর এক মাস পরই প্রশাসন ক্যাডারের চাপের মুখে সরকার তা স্থগিত করে।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৫ সালে হাইকোর্টে মাসদার হোসেন এ মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৭ সালে মামলাটির রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। দুই বছর পরে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর ১২ দফা নির্দেশনার আলোকে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করার রায় দেন আপিল বিভাগ।
 
এরপর দীর্ঘদিনেও রাজনৈতিক সরকারগুলো পৃথকীকরণের ওই রায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়নি। এ অবস্থায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ০১ নভেম্বর বিচার বিভাগকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করা হয়।

আদেশের পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের চাকরি, বরখাস্তকরণের আইন প্রণয়ন এতোদিনেও হয়নি। সরকারি কর্মচারীদের মতো বিধি এখানে প্রয়োগ করা হচ্ছে। আপিল বিভাগ বলেছেন, বহু আগেই  এ ব্যাপারে রুলস প্রণয়নের জন্য সরকারকে বলা হয়েছে’।

‘সে অনুযায়ী ইতোমধ্যে তারা যে রুলস প্রণয়ন করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠিয়েছে, তা আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি’।

মাসদার হোসেন মামলার রায়ের ৭ নম্বর দফায় উল্লেখ আছে, বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের ব্যাপারে যে রুলস প্রণয়ন করা হবে, তাতে শাসন বিভাগের চেয়ে বিচার বিভাগের মতামতই প্রাধান্য পাবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের মতে, সরকার যে রুলস পাঠিয়েছে, তাতে যেভাবে মাসদার হোসেন মামলায় যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সেভাবে নাই। সেটা সুপ্রিম কোর্টের একটা কমিটি করে, রুলসটাকে সরকারি রুলসের সঙ্গে সংযোজন করে যেটা প্রণয়ন করেছে, সেটাকে বিবেচনা করার জন্য তারা আদেশ দিয়েছেন’।

‘আমি বলেছি, বিচার বিভাগ আইন বিভাগকে আইন প্রণয়নের জন্য সরাসরি বলতে পারেন না। কারণ, বিচার বিভাগের কাজ বিচার করা, আইন বিভাগের কাজ আইন করা। জিনিসটা সুপ্রিম কোর্টের ইচ্ছাটা প্রতিফলিত হোক, আদেশ আকারে যেন না যায়’।

এরপর আদালত সুপ্রিম কোর্ট কমিটির সংশোধনী অনুসারে রুলস প্রণয়ন ও গেজেট করে আগামী ০৬ নভেম্বরের মধ্যে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেন বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।