ঢাকা: ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। এছাড়া সংগঠন হিসেবে জামায়াতের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিভাবে তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা যায়’।
দল বা সংগঠন হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করে জামায়াত নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনটি সংশোধন করা উচিত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দু’টি রায়ের পর্যবেক্ষণে সংগঠন হিসেবে জামায়াতের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করে খতিয়ে দেখতে বলেছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ০৪ নভেম্বর যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, সেই সংবিধানে পরিস্কারভবে লেখা ছিল- ধর্মভিত্তিক কোনো রাজনৈতিক দল হতে পারবে না। জামায়াত সেই সময় এক্সিস্ট করতো না। ১৯৭৩ সালে যখন আইন করা হয়, তখন জামায়াতের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। তাই কোনো দলকেই এ আইনের আওতায় বিচার করার কোনো বিধানও ছিল না। যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনাল রায়ে যখন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে এর একটা বিধি ব্যবস্থা করা উচিত। এ চিন্তা এবং জনগণের দাবি গ্রহণ করে আমরা এ আইনের কিছু সংশোধন করছি’।
জামায়াত নিষিদ্ধ হচ্ছে কি-না তা স্পষ্ট করার প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আবারো বলবো, নিষিদ্ধ করবেন কি করবেন না- সেটা আদালতের ব্যাপার। আমার কাজ হচ্ছে, এমন আইন করে দেওয়া, যেন সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার হয়। সংশোধিত সে আইনটিই এখন মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য অপেক্ষমান। এর চেয়ে আমি আর বেশি কিছু বলবো না’।
** যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তির বিষয়ে নতুন আইন হচ্ছে
** ‘দুই মন্ত্রীর পদ হারানোর কোনো কারণ নেই’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৬
এসএমএ/এএসআর