ঢাকা: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার আবেদনটি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা
মঙ্গলবার এই জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের নিষ্পত্তি করে আরিফুল হক চৌধুরীকে জামিন দেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়ার হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এর আগে গত ০৯ আগস্ট আরিফুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন একই হাইকোর্ট বেঞ্চ। দশদিনের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়। আদালতে মেয়র আরিফুলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মোহাম্মদ বশীর উল্লাহ।
গত ২২ মার্চ মায়ের অসুস্থতার কারণে হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চ আরিফুল হক চৌধুরীকে ১৫ দিনের জন্য জামিন দিয়েছিলেন। জামিনে মুক্তির পর ১০ এপ্রিল আবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ওই হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মামলাটির প্রথম দফার অভিযোগপত্রে আরিফুলের নাম ছিল না। তবে সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্রে তার নাম আসে। সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০১৪ সালের ২১
ডিসেম্বর মেয়র আরিফুলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর আরিফুল বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। আদালত তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল হক সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিরও সদস্য। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এবং সাবেক মেয়র বদরুদ্দিন আহমেদ কামরানকে হারিয়ে তিনি সিলেটের মেয়র নির্বাচিত হন। কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় গত বছরের জানুয়ারিতে তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৬
ইএস/আরআই