ঢাকা: সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির উদ্যোগ নিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
আপিল শুনানির দিন ধার্যের জন্য বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়েছে।
২০১২ সালের ৫ মার্চ রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের কূটনীতিক এলাকার ১২০ নম্বর সডকের ১৯/বি নম্বর বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী (৪৫)। ৬ মার্চ ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তার মৃত্যু হয়।
এর কিছুদিন পর ৪ জুন রাজধানীর দক্ষিণখান থানার গাওয়াইর এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম মামুন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও আল আমীন নামের তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের ডাকাতি, দস্যুতা ও ছিনতাই প্রতিরোধ টিম।
এ সময় তাদের কাছ থেকে কালো রঙের একটি বিদেশি .২২ বোরের রিভলবার উদ্ধার করা হয়। অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ওই বছরের ৪ জুন তাদের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। আসামি সাইফুল ইসলাম মামুন ও আল আমীন আদালতে স্বীকার করেন, ৫ মার্চ দিবাগত রাতে ছিনতাই করতে গিয়ে বাধা দেওয়ায় তারা সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলীকে এ অস্ত্রটি দিয়েই গুলি করে হত্যা করেন।
পরে আসামি সাইফুল ইসলাম ওরফে মামুন, মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকনকে খালাফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। ৩১ অক্টোবর মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয় ৫ জনের বিরুদ্ধে। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় ৫ আসামির সকলকে ফাঁসির আদেশ দেন ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন।
নিয়ম অনুসারে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর আসামি সাইফুলকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অপর ৩ জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পলাতক একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পলাতক সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহম্মেদকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬
ইএস/এএসআর