ঢাকা: মাদারীপুর শহরের জেলাপ্রশাসনের প্রায় ২০০ বছরের পুরনো পুলিশ ফাঁড়ি পুকুর ভরাট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রোববার (০৯ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।
চলতি মাসের ০৬ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জেলা প্রশাসনের পুকুর ভরাট করছে যুবলীগ-ছাত্রলীগ’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয় বলে জানান আইনজীবী।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদারীপুর শহরের পুলিশ ফাঁড়ি পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতা অবৈধভাবে পুকুরটি ভরাট করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌরসভা থেকে পুকুরটি ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
শহরের পুরান বাজারের লঞ্চঘাট এলাকায় পুকুরটি অবস্থিত। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো দুই একর তিন শতাংশের এ পুকুরের মালিক জেলা প্রশাসন। পুকুরটি ভরাটের পাঁয়তারার বিষয়টি টের পেয়ে এটি রক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন গত এক বছরে জেলা প্রশাসককে তিন দফা চিঠি দিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার সকাল থেকে খননযন্ত্রের একটি পাইপ দিয়ে পুকুরে বালু ফেলা হচ্ছে। পুকুরটি ভরাট বন্ধের দাবি জানিয়ে স্থানীয় জনতা ও ফ্রেন্ডস অব নেচার নামের একটি পরিবেশবাদী সংগঠন মঙ্গলবার শহরে মানববন্ধন করেছে। পৌর মেয়র ইতিমধ্যে খননযন্ত্রের মালিক শাহীন মুন্সি ও রাজিব মিয়াকে চিঠি দিয়ে পুকুর ভরাট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুকুরটি ভরাট প্রক্রিয়ার সঙ্গে রয়েছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ও মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের সাবেক ভিপি সাইফুর রহমান রুবেল খান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভির মাহমুদ।
রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাদারীপুর পৌর মেয়র খালিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিবাদী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯,২০১৬
ইএস/এসএইচ