ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে একমাসের মধ্যে আপিল 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে একমাসের মধ্যে আপিল 

ঢাকা: সংসদের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন রাষ্ট্রপক্ষ।
 
সোমবার (২৪ অক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হাইকোর্ট এটাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন। দু’জন বিচারপতি বলেছেন এটা অবৈধ, একজন বলেছেন বৈধ। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই আপিল বিভাগে আপিল করবো। রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার প্রক্রিয়ায় আমরা আছি, এটা পেয়ে গেলেই আপিল করবো। একমাসের মধ্যে আমরা করতে পারবো বলে মনে হয়। ’

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিচারপতির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে এখন বিচারপতি অপসারণ কিভাবে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, ‘বিচারপতিদের অপসারণের ব্যাপারে সাংবিধানিক শূন্যতা বলা যায়। কারণ, এখন এই অবস্থানে তো ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বলা হয়েছে, একজনও যদি যুদ্ধাপরাধী থাকে, তার বিচার অব্যাহত থাকবে। সেই বিচার বর্তমান অবস্থায় হবে না কি জেলা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। ট্রাইব্যুনালে এতো লোকবল আছে, এতো লোকবল আর রাখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তদন্তের ব্যাপারেও না, প্রসিকিউশনের ব্যাপারেও না’।

‘এখন সরকার যদি মনে করে জেলা পর্যায়ে নিয়ে যাবে তবে অন্য কথা। সরকার যদি মনে করে, হাইকোর্টের বিচারপতিদের এখান থেকে নিয়ে জেলা পর্যায়ের বিচারকদের নিয়োগ করবেন করতে পারেন। ’
 
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে এ রিট আবেদন দায়ের করেন।  রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৯ নভেম্বর এ সংশোধনী কেন অবৈধ,বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

২০১৫ সালের ২১ মে রুলের শুনানি শুরু হয়। পরে ১০ মার্চ রুলের শুনানি শেষে ৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

এর মধ্যে ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ করে দুই বিচারপতির দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ১১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। ০৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার অবৈধ রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারী বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের রায় প্রকাশ পায়।

এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল অসদাচারণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত ও তাকে অপসারণের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টবিচারক (তদন্ত) আইন’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪,২০১৬
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।