ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘বদির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে দুদক’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৬
‘বদির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে দুদক’

ঢাকা: কক্সবাজার-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি তথ্য গোপনের দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড পেলেও জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন। আর এ ধারায় তার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) বাংলানিউজকে এমন কথা বলেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

খুরশীদ আলম খান বলেন, ‌‘তথ্য গোপনের অভিযোগে দণ্ড পেলেও ওই এমপিকে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এরপর আমি দুদকের ডিজি (আইন) কে বলেছি- বিচারিক আদালতের রায় পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত নিয়ে দুদক আবদুর রহমান বদির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে। ডিজি বলেছেন, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন’।

খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, ‘আপিলের জন্য এখনো ৬০ দিন সময় আছে’।

বুধবার (০২ নভেম্বর) সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে ৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ডাদেশও দেওয়া হয়।

সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দু’টি ধারায় মামলাটি করেছিল দুদক। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ধারাটি আদালতে প্রমাণিত হয়নি এমপি বদির বিরুদ্ধে।

আদালতে হাজির ছিলেন বদি। রায়ের পর পরই সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাকে।

রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটের ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

২০১৪ সালের ২১ আগস্ট এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক আবদুস সোবহান।

২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে,  নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তার হলফনামার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আব্দুর রহমান বদি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যের সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানোর অভিযোগে এ মামলা হয়।

অভিযুক্তের সম্পদ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার অফিস, এনবিআর, বিআরটিএ, রাজউক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, রিহ্যাব, ব্যাংক-বিমাসহ অন্যান্য অফিসে অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে সম্পদের হিসাব বের করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তের নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন..

এমপি বদির সাজা, কারাগারে প্রেরণ

এমপি বদির দুর্নীতি মামলার রায় কিছুক্ষণের মধ্যেই

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।