ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘ডিএনসিসির ৫২ একর জমি উদ্ধারে বাধা নেই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৬
‘ডিএনসিসির ৫২ একর জমি উদ্ধারে বাধা নেই’

ঢাকা: গাবতলী গরুর হাট সংলগ্ন ইট, পাথর, বালুর আড়ত হিসেবে ব্যবহৃত তিনশ’ প্লটভুক্ত ৫২ দশমিক ৩৬ একর জমির ওপর দেওয়া স্থিতাবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ওই সম্পত্তি নিয়ে জারি করা রুলও খারিজ করে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত।


ফলে ওই জমি উদ্ধারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জন্য আইনগত আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন করপোরেশনের আইনজীবী।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (০৬ নভেম্বর) এ রায় দেন। আদালতে উত্তর সিটির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. শাহজাহান।
২০০৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে গাবতলী গরুর হাটের কাছে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ৩০০ প্লট ইট-বালুর আড়ত হিসেবে বরাদ্দের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করে।
পরে কয়েকজন ব্যক্তি দরপত্র জমা দেন। তবে দরপত্র অনুযায়ী তাদের জমি বরাদ্দ না দেওয়া সত্ত্বেও ওই জমি তারা দখলে নেন বলে দাবি করে সিটি করপোরেশন।
কিন্তু ২০০৮ সালে গাবতলী ইট, পাথর, বালু আড়তদার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিরুল্লাহ ১৭৭ জন ব্যক্তির পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। রিটে তারা সিটি করপোরেশনের কাছে লিজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাবি এবং স্থিতাবস্থার আবেদন করেন।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০০৮ সালের ২২ জানুয়ারি হাইকোর্ট জমির ওপর উভয়পক্ষকে তিনমাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন। পরবর্তীতে এ স্থিতাবস্থার মেয়াদ রুল নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন আদালত।
এ রুল শুনানিকালে সিটি করপোরেশন আদালতকে জানায়, ঢাকা সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ওই ভূমিতে বাজার সার্কেলের অনুরোধে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে ইট, বালুর আড়ত হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার লক্ষ্যে করপোরেশন থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছিল। তবে কোনো বরাদ্দপত্র বা অনুমতিপত্র দেওয়া হয়নি এবং তাদের অনুকূলে কোনো দখলও বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
আইনজীবী শাহজাহান জানান, রুল শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল খারিজ করে স্থিতাবস্থা প্রত্যাহার করে রায় দেন। ফলে ডিএনসিসির জন্য এ জমি উদ্ধারে আর কোনো বাধা রইল না।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬
ইএস/এএটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।