ঢাকা: কোন কর্তৃত্ব বলে রাজধানীর বনানীতে পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক গভর্নর মোনায়েম খানকে বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বাড়ি নিয়ে মামলার শুনানিকালে এ রুল জারি করেন।
আদালতে সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাহজাদা আল আমিন কবির সোহেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলন মোতাহার হোসেন সাজু।
পরে শাহজাদা আল আমিন কবির বলেন, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মোনায়েম খানের পরিবার ও রাজউককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে মোনায়েম খানের বাড়ির রাস্তার পাশে সবুজায়নের জন্য বরাদ্দকৃত ৫০ ফুট বাই ২০০ ফুট জায়গা রাজউক ও সিটি করপোরেশনের যৌথ জরিপের মাধ্যমে চিহ্নিত করার পর দখলমুক্ত করে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বনানীর ব্লক-এ'র ১১০ নম্বরের পাঁচ বিঘা ১৫ ছটাকের প্লটটি ১৯৬৬ সালে ডিআইটি থেকে বরাদ্দ পান মোনায়েম খান।
পরে ২০০৯ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন তাদের জায়গা উল্লেখ করে চিঠি দেয়। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মোনায়েম খানের ছেলে কামরুজ্জামান। ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা জারি করেন।
এ অবস্থায় গত ০৩ নভেম্বর বিকালে বনানীর ২৭ নম্বর রোডের ১১০ নম্বর বাড়িতে ডিএনসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান শরীফ ও মো. সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। ডিএনসিসি’র এউচ্ছেদ অভিযান স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আসেন মোনায়েম খানের ছেলে মো. কামারুজ্জামান খান।
গত ০৭ নভেম্বর হাইকোর্টের স্থিতিতাবস্থা থাকা সত্ত্বেও মোনায়েম খানের বাড়ি (বনানীর ২৭ নম্বর রোডে ১১০ নম্বর বাড়ি) কেন উচ্ছেদ করা হলো- তার ব্যাখ্যা জানতে চান হাইকোর্ট।
সাতদিনের মধ্যে লিখিতভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কাছে এ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে সাতদিনের জন্য সকল উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে নির্দেশ দেন আদালত। সে অনুসারে ডিএনসিসি’র দেওয়া ব্যাখ্যার ওপর রোববার শুনানি শেষে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩,২০১৬
ইএস/এএসআর