ঢাকা: বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে বিদেশি শিক্ষার্থীর ৫০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
পরে ইউনুছ আলী জানান, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বিদেশি কোটায় দেশি শিক্ষার্থী ভর্তি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এ প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৪০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ ছিল। এতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। ১১-১২ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি কোটা ছিল ২৫ শতাংশ। ওই সময়ও ৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। হাতেগোনা কয়েকটি মেডিকেলে ১৫-২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। এরপরও প্রতি বছর বেসরকারি মেডেকেলে বিদেশি কোটা ৫-১০ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়।
সর্বশেষ চলতি বছরে আরও ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়। এবছরও ৫ শাতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। এ প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ১৬ অক্টোবর রিট করেন ইউনুছ আলী আকন্দ।
তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা অযৌক্তিক। এতে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। অথচ বিদেশি শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েই সে সুযোগ পাচ্ছে। এজন্য মঙ্গলবার আদালত রুল জারি করেছেন। রুলে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে বিদেশি শিক্ষার্থীর ৫০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জান চেয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় ২০১৬-১৭ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, স্বাস্থ অধিদপ্তরের পরিচালক, বেসরকারি ইব্রাহীম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ ও বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ মোট নয় জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
ইএস/এসএইচ