ঢাকা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালদের জান-মাল রক্ষা, নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার সুযোগ দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
একইসঙ্গে কোন কর্তৃত্ববলে সাঁওতালদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর ) আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করা হয়।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও কুমার দেবুল দে।
রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, শিল্প সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান, রংপুর সুগার মিল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সাহেবগঞ্জ সুগারক্যান ফার্মের উপ-মহাব্যবস্থাপককে।
জেড আই খান পান্না বলেন, রিটে সাঁওতালদের জীবন-মান রক্ষার নির্দেশনা ও তাদের ওপর হামলা, জীবনহানি ও উচ্ছেদ কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এ মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি সাঁওতালদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও গ্রামে নির্বিঘ্নে চলাফেরার সুযোগ দানের নির্দেশনা এবং বেআইনিভাবে হয়রানি না করার নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে।
এছাড়াও কোন কর্তৃত্ববলে সাঁওতালদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে নির্দেশনা এবং ভাংচুর ও লুট করে উচ্ছেদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালদের কেন যথাযথ ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা দেওয়া হবে না- এ মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।
গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, গত ০৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী ও সাঁওতালদের সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে তিনজন সাঁওতাল নিহত হন, আহত হন অনেকে।
পরে পুলিশ-র্যাব ওই দিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মিলের জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
ইএস/এএসআর