ঢাকা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ওপর হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, গুলি ও হত্যা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
দুই সাঁওতালের স্ত্রীর করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
হামলায় আহত দ্বিজেন টুডোর স্ত্রী অলিভিয়া হেমভ্রম ও গণেশ মুরমোর স্ত্রী রুমিলা কিসকুর পক্ষে সোমবার (২১ নভেম্বর) এ রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
মঙ্গলবার রিটের শুনানি নিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, শিল্প সচিব, পুলিশের মহাপরির্শক, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং মহিমাগঞ্জ সুগার মিলের ম্যানেজারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. রফিকুর রহমান, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, গত ০৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও সাঁওতালদের সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে তিন সাঁওতাল নিহত হন, আহত হন অনেকেই।
এরপর আহত দুই সাঁওতালের স্ত্রী গত ১৫ নভেম্বর সরকারকে নোটিশ পাঠান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ নোটিশের জবাব না দিলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
ইএস/এমজেএফ/