ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হাইকোর্টে বাদ পড়া বিচারপতির রিটের নিষ্পত্তি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
হাইকোর্টে বাদ পড়া বিচারপতির রিটের নিষ্পত্তি

ঢাকা: স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ না পাওয়া বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর রিট আবেদনের পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এখন তিনি ইচ্ছে করলে আপিল বিভাগে যেতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন। 

শুনানি শেষে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ আবেদনের নিষ্পত্তি করে দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।  
 
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

তিনি জানান, আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসাইনের এ ধরনের একটি আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।

হাইকোর্টে দুই বছর অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালনের পরও স্থায়ী না করায় সকালে রিট আবেদনটি দায়ের করেন বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলী। রিটে তাকে স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। রিটে তাকে নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে কেন স্থায়ী নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হবে না- সে মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়।  

রিটে বিবাদী করা হয় রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে।
 
ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জন ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরের দিন তারা শপথ নেন। ওইদিন থেকেই তাদের নিয়োগ কার্যকর হয়।
 
গত ০৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে হাইকোর্টে নিয়োগ পাওয়া ওই ১০ অতিরিক্ত বিচারপতির মধ্যে  ০৮ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
 
১০ জনের মধ্যে বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেছেন। আর বাদ পড়েছেন বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলী।
 
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীকে বাদ দিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। তাকে স্থায়ী না করার বিষয়ে গত ০৯ ফেব্রুয়ারি  দৈনিক যুগান্তরে  সংবাদ  প্রকাশিত হয়।
 
‘স্থায়ী হল ৮ বিচারপতির নিয়োগ- একজনকে বাদ দেয়ার ক্ষেত্রে রায় লংঘনের অভিযোগ” শিরোনামে যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দু’বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আটজনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শপথ গ্রহণের দিন থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া একজনকে বাদ দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইনের লংঘন ঘটেছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের’।

‘সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে জানা গেছে, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা নয়জনকেই স্থায়ী বিচারপতি নিয়োগের সুপারিশ করেছিলেন। প্র্রধান বিচারপতির সুপারিশের পরও একজনকে স্থায়ী নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করায় সুপ্রিম কোর্টের ‘১০ বিচারপতির মামলা’-সংক্রান্ত রায়ের লংঘন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা’।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
ইএস/এএসআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad