ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘বাদ পড়া’ দুই বিচারপতির আপিল শুনানি একইসঙ্গে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
‘বাদ পড়া’ দুই বিচারপতির আপিল শুনানি একইসঙ্গে

ঢাকা: স্থায়ী নিয়োগ বঞ্চিত বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর আপিল শুনানি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নিয়োগ বঞ্চিত বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
 
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী  মনজিল মোরসেদ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
 
পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, আপিল বিভাগে নিয়োগ বঞ্চিত আরেক সাবেক বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের আবেদনও শুনানির জন্য রয়েছে। ওই মামলার সঙ্গেই  বিচারপতি শিবলীর আবেদনেরও শুনানি হবে বলে আপিল বিভাগ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এখন ওই বিচারপতি আলতাফ হোসেনের মামলা যেদিন কার্যতালিকায় আসবে সেদিনই এ আবেদনের ওপরও শুনানি হবে।
 
২০১২ সালের ১৪ জুন এ বি এম আলতাফ হোসেনসহ মোট ছয়জনকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্টে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আলতাফকে বাদ দিয়ে অন্য পাঁচজনকে ২০১৪ সালের  ০৯ জুন স্থায়ী করা হয়।
 
এরপর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেতে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে একই বছরের ১২ আগস্ট রিট আবেদন করেন এ বি এম আলতাফ হোসেন।
 
এদিকে বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দানের নির্দেশনা চেয়ে ওই বছরের  ২৩ জুলাই পৃথক একটি রিট দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান।
 
একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট দুটি রিটই খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে আপিলের অনুমিতে চেয়ে  আবেদন করেন বিচারপতি আলতাফ।
 
২০১৪ সালের ০৬ নভেম্বর তার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) মঞ্জুর করে সাতজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ।

অ্যামিকাস কিউরিরা হলেন- ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, এম আমীর-উল ইসলাম, মাহমদুল ইসলাম (পরে প্রয়াত ), আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, আজমালুল হোসেন কিউসি ও এএফ হাসান আরিফ।

বর্তমানে তার আপিলটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
 
বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জন ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরের দিন তারা শপথ নেন। ওইদিন থেকেই তাদের নিয়োগ কার্যকর হয়।
 
গত ০৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে হাইকোর্টে নিয়োগ পাওয়া ১০ অতিরিক্ত বিচারপতির মধ্যে ওই ০৮ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
 
এর মধ্যে বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন। অপরদিকে বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলী বাদ পড়েন।

স্থায়ী নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১২ ফেব্রুয়ারি রিট করেন শিবলী। ওইদিনই তার আবেদনটি নিস্পত্তি করেন দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। হাইকোর্ট রিটের বাদী বিচারপতি শিবলীকে আপিল বিভাগে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সে অনুসারে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আপিলে আবেদন করেন বিচারপতি শিবলী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।