ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গাজীপুরে পরিবেশ দূষণ নিয়ে হাইকোর্টের রুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
গাজীপুরে পরিবেশ দূষণ নিয়ে হাইকোর্টের রুল

গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে একটি কেমিক্যাল কোম্পানির বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কেমিক্যাল কোম্পানিটি কি পরিমাণ পরিবেশ দূষণ করে তা নিরূপণ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি তারিকুল হাকিম ও এম, ফারুক এর বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।  

হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী হারুন অর রশীদ ফরিদ।

তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু।  

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হাসানুজ্জামান।  

পরিবেশ অধিদপ্তরের সচিব, মহা-পরিচালক, উপ-পরিচালক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও এস এম কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রিটের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেওয়া অবগতিপত্রের সূত্র ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।  

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল আউয়াল জানান, শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ এলাকায় অবস্থিত এস এম কেমিক্যাল কারখানার কারণে কয়েক বছর ধরে ওই এলাকার নলকূপের পানি বিষাক্ত হয়ে ওঠে। প্রতিনিয়ত বিষাক্ত গ্যাস ওই গ্রামের আবহাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদ জানালে কারখানা কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে। পরিবেশ দূষণের তীব্রতা বেড়ে গেলে এলাকাবাসী গত বছরের ডিসেম্বরে কারখানা এলাকায় মানববন্ধন করেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী আন্দোলন কর্মসূচি থেকে ফিরে আসেন। এ ঘটনা লিখিতভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালককে জানানো হয়। তারা সম্প্রতি এলাকায় তদন্ত করেন।  

ইউএনও আরো জানান, রোববার এ ঘটনায় হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। তবে কোনো কাগজপত্র এখনও হাতে আসেনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
আরএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।