ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হজে যেতে পারবেন আখাউড়ার আজাদ, ওসিকে ক্ষমা হাইকোর্টের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
হজে যেতে পারবেন আখাউড়ার আজাদ, ওসিকে ক্ষমা হাইকোর্টের জীবিত আজাদ হোসেন ভূঞাকে ‘মৃত’ দেখানো হয়েছিল পুলিশি প্রতিবেদনে। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার আজাদ হোসেন ভূঞাকে হজে যাওয়ার সুযোগ দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জীবিত ওই হজযাত্রীকে পুলিশি প্রতিবেদনে ‘মৃত’ দেখানোর ঘটনায় আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন তরফদারকে ক্ষমা করে রিটের নিষ্পত্তি করেছেন।

আজাদ হোসেন ভূঞার জীবিত থাকার পক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপনের পর সোমবার (২৪ জুলাই) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রোববার (২৩ জুলাই) তলবে হাজির হয়ে ওসি মোশাররফ হোসেন তরফদারের নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদনের পর ওই ব্যক্তির জীবিত থাকার পক্ষে লিখিত আকারে যথাযথ তথ্য চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

সে অনুসারে সোমবার প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করেন ওসির পক্ষে শুনানি করেন শাহরিয়া কবির বিপ্লব।

আদালতে ছিলেন ওসি মোশাররফ হোসেন তরফদারও।      
 
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম খালেদ ও মো. কায়সার জাহিদ ভূঁইয়া।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মো. কায়সার জাহিদ ভূঁইয়া বলেন, আখাউড়ার বাসিন্দা আজাদ হোসেন ভূঞার হজে যাওয়ার কথা ছিলো ১৮ বা ২৯ জুলাই। কিন্তু গত ২০ জুন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পুলিশি প্রতিবেদনে তাকে ‘মৃত’ বলে দেখতে পাওয়া যায়।

ওসির আইনজীবী শাহরিয়া কবির বলেন, পুলিশ সুপার মোট ১৯৯ জনের পুলিশি প্রতিবেদনের জন্য আখাউড়ার ওসি মোশাররফ হোসেন তরফদারের কাছে পাঠান। ওসি ১০ জন এসআই ও একটি ফাঁড়িকে দায়িত্ব দেন। সবাই লিখিত রিপোর্ট দিলেও এসআই আবুল কালাম আজাদ টেলিফোনে কম্পিউটার অপারেটরকে প্রতিবেদন দেন। যেখানে একজন মৃত ও আরেকজনের বিষয়ে দু’টি মামলা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু অপারেটর যার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তার স্থলে মৃত ব্যক্তির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী এম খালেদ বলেন, পরবর্তীতে পুলিশ একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। যেটি হজযাত্রী আজাদ হোসেন ভূঞার অনুকূলে নয়। ওখানে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা আছে। একটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। অন্যটিতে জামিনে আছেন।

শাহরিয়া কবির বলেন, ওই ব্যক্তির বিষয়টি দৃষ্টিতে আসার পর গত ০৪ জুলাই তার আরেকটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়েছে, তার নামে দু’টি মামলা আছে। পরে মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইটে সেটি (মৃত না থাকার বিষয়ে) সংশোধন করে।

তাকে ‘মৃত’ দেখানোর বিষয়ে সম্প্রতি রিটটি দায়ের করেন আজাদ হোসেন ভূঞা। এ রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৭ জুলাই ওসিকে তলব করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদেশে ২৩ জুলাই হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
রুলে পুলিশি প্রতিবেদনে জীবিত ব্যক্তিতে মৃত দেখানো কেন বেআইনি হবে না- তা জানতে চান হাইকোর্ট।

স্বরাষ্ট্র সচিব, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) ও আখাউড়া থানার ওসিকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
ইএস/ এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।