ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বেসরকারি মেডিকেলে উচ্চ ভর্তি ফি’র প্রজ্ঞাপন নিয়ে রুল 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
বেসরকারি মেডিকেলে উচ্চ ভর্তি ফি’র প্রজ্ঞাপন নিয়ে রুল 

ঢাকা: বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ১ম বর্ষে ভর্তি ফি সহ মোট ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এ রুল জারি করেন।

আদেশে চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, কলেজের পরিচালনা পর্ষদকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত ইশরার বিনতে ইউনুছের পিতা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড.মো.ইউনুছ আলী আকন্দ।

পরে ইউনুছ আলী বলেন, ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সিনিয়র সহকারী সচিব মো.রেজাউল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ১ম বর্ষে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি ফি সরকার নিম্নরূপ ভাবে নির্ধারণ করেছেন। ১. ভর্তি ফি-১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ২. ইন্টার্নি ভাতা ফি এক লাখ বিশ হাজার। ৩.টিউশন ফি চার লাখ আশি হাজার টাকা। সর্বমোট ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ভর্তির সময় জমাকৃত ইন্টার্নি ভাতা এক লাখ বিশ হাজার টাকা ইন্টার্নশিপ চলাকালীন লভ্যাংশসহ ছাত্র ছাত্রীদের ফেরত দিতে হবে।

ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদসহ বিভিন্ন অনুচ্ছেদের লংঘন। এছাড়া ১৯৯৭ সালের ৭ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজকে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি দিয়ে কিছু শর্তারোপ করে।

ওই শর্তের ৬ ধারায় বলা হয়েছে, ভর্তির সময় কোনো ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে উন্নয়ন ফিস হিসেবে কেনোক্রমেই পঞ্চাশ হাজার টাকার অধিক নেওয়া যাবে না।

৭ ধারায় বলা হয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে এক হাজার দুইশ’ টাকার বেশি মাসিক বেতন নেওয়া যাবে না।

এছাড়াও বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ৫ (৫) ধারা অনুসারে ‘মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা ও ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির নীতিমালা ও শর্তাদি নির্ধারণ’ করবে কাউন্সিল।

কিন্তু ভর্তির টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। এটাও বেআইনি উল্লেখ করে ইউনুছ আলী বলেন, রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯,২০১৮
ইএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।