বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সাতদিনের মধ্যে অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও মহাব্যবস্থাপক, যমুনা ব্যাংকের এমডি ও উপ-মহাব্যবস্থাপক এবং নওয়াবপুর শাখার ব্যবস্থাপককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনটি দায়ের করেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী এআইএম হাসানুল মুজিব। আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন।
পরে আলতাফ হোসেন জানান, ২০০৫ সালে ৫ বছরের জন্য তালেবুর নুর নামের আরেক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী যমুনা ব্যাংকের নওয়াবপুর শাখায় ৫১ লাখ টাকার একটি মুদারাবা সঞ্চয়ী (এমপিডিআর) হিসাব খোলেন। এই তালেবুর নুরের সঙ্গে এআইএম হাসানুল মুজিব যৌথভাবে ২০০৬ সালে তুরস্ক থেকে ২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করেন। কিন্তু ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় তালেবুর নুর দেনা হন। এ কারণে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে তার ওই যমুনা ব্যাংকের ৫১ লাখ টাকার মালিকানা হাসানুল মুজিবকে দেন। এরপর ২০১১ সালে এআইএম হাসানুল মুজিব টাকা তুলতে যমুনা ব্যাংকের নওয়াবপুর শাখায় আবেদন করেন। কিন্তু ব্যাংক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত শেষে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল মালিককে হাজির করতে হবে অথবা বিষয়টি যমুনা ব্যাংক নিষ্পত্তি করবে। এরপর টাকার জন্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন এআইএম হাসানুল মুজিব। এ রিট আবেদনের শুনানি শেষে গত বছরের ২ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ৩০ দিনের মধ্যে রিট আবেদনকারীকে টাকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে যমুনা ব্যাংক। কিন্তু আদালত কোনো স্থগিতাদেশ দেননি। এ অবস্থায় টাকা চেয়ে যমুনা ব্যাংকের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এআইএম হাসানুল মুজিব। কিন্তু টাকা না দেওয়ায় তিনি আদালত অবমাননার আবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪,২০১৮
ইএস/জেডএস