সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী কুমার দেবুল দে বিষয়টি নজরে আনার পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ, এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল ইউসুফ মাহবুব মোর্শেদ।
গত ১৯ নভেম্বর দেশের ৬৮ কারাগারে বিচারে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে সাত বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আটক বন্দিদের তালিকা চেয়ে কারা মহাপরিদর্শককে চিঠি পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি।
চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর কারা কর্তৃপক্ষ ২৫৬ জনের তালিকা পাঠায়। সে তালিকা থেকে যাচাই-বাছাই করে ১৩৯ জনের বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়।
আদেশের পর আইনজীবী কুমার দেবুল দে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে এসব কারাবন্দিদের মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ নির্দেশনার বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মনিটরিং কমিটির কাছে সংশ্লিষ্ট বিচারকদের প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এসব মামলায় সাক্ষীর হাজিরা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা বিভাগে সাত বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি ৪৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৬ জন, সিলেট বিভাগে ১২ জন, বরিশাল বিভাগে ১ জন, খুলনা বিভাগে ৫ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন।
দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় নাগরিকদের আইনি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ করা হয়। এ আইনের অধীনেই প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। এ সংস্থার অধীনে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের ৬৪ জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটি বিনামূল্যে আইনি সেবা নিয়ে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
ইএস/জেডএস