এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে সোমবার (৫ মার্চ) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সুহান খান।
পরে সুহান খান জানান, আদালত কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়ে চার মাস পর এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়, শ্রম আইন ও বিধিমালা মতে পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে নির্ধারিত ওজনের ভার বহনের বিষয়টি যথাযথভাবে অনুসরণ হচ্ছে কি-না, তা নির্ধারণে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান বা পরীক্ষা করতে হবে।
আইন ও বিধি লঙ্ঘন হলে কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার দশ কার্যদিবসের মধ্যে তা অনুসন্ধান, তদন্ত এবং আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ পালন না হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শ্রম আদালতে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
শ্রম আইন ও বিধিমালা সম্পর্কিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে করা শ্রমিক অধিকারের তথ্যাদি প্রচার, প্রকাশ ও সরবরাহ করতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কর্মশালা আয়োজনের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীর পবা উপজেলা লোড-আনলোড কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লার রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
রুলে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ৫০ কেজি এবং নারী শ্রমিকের ৩০ কেজি ওজনের বেশি ভার বহন কেন বেআইনি হবে না- তা জানতে চান হাইকোর্ট। এছাড়াও শ্রম আইন ও বিধি বিধান দু’টি অনুসরণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা-ও জানতে চান আদালত।
ওই সময় সুহান খান জানিয়েছিলেন, শ্রম আইনের ৭৪ ধারায় রয়েছে- নির্ধারিত ওজনের বাইরে শ্রমিকদের দিয়ে ভার বহন করানো যাবে না। আর বিধিতে রয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ৫০ কেজি এবং নারী শ্রমিকের ৩০ কেজি ওজনের বেশি ভার বহন করানো যাবে না।
কিন্তু কোল্ড স্টোরেজ বা হিমাগারগুলো ১১০ থেকে ১২০ কেজি ওজনের মতো ভার বহনে বাধ্য করে শ্রমিকদের। এ কারণে গত বছরের মার্চে রাজশাহীতে তৌহিদুল ইসলাম নামে এক শ্রমিক মারা যান।
পরবর্তীতে এ রুলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, ০৫ মার্চ, ২০১৮
ইএস/এইচএ/