মঙ্গলবার (৬ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে আপিল (২২১৫/১৮) করেন আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায় ।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল দায়ের করেছিল।
সেদিন খালেদার জরিমানা স্থগিত করে বিচারিক আদালতের নথি ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে ২৫ ফেব্রুয়ারি জামিন শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের নথি পৌঁছার পর হাইকোর্ট জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন।
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছর ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
সাজা ঘোষণার পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এতিমদের সহায়তার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ অপর চারজনকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
ইএস/এএ