ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

স্বপনকে ৭ টুকরো করে হত্যার দায় স্বীকার পিন্টুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
স্বপনকে ৭ টুকরো করে হত্যার দায় স্বীকার পিন্টুর আসামি পিন্টু দেবনাথ। ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের কাপড় বিক্রেতা স্বপন কুমার সাহাকে সাত টুকরো করে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি পিন্টু দেবনাথ।

রোববার (২২ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদুল মহসীনের আদালতে পিন্টুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।  

এর আগে ১৯ জুলাই স্বপন হত্যা মামলায় আসামি পিন্টুর বান্ধবী রত্না রানি কর্মকার ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্বপন হত্যার আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন।

একইদিন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আবদুল্লাহ আল মোল্লা মামুন।

প্রবীর ও স্বপন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান।

তিনি জানান, রোববার আদালতে স্বপনকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়ার স্বীকারোক্তি দেন পিন্টু দেবনাথ।  

এর আগে গত ১৪ জুলাই স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষকেও ৭ টুকরো করে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক পিন্টু দেবনাথ।

তিনি বলেন, ২০ জুলাই শীতলক্ষ্যায় তল্লাশীও চালিয়ে স্বপনের মরদেহ পাওয়া যায়নি।  

আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে পিন্টু জানান, ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর বাজারের একটি ভবনের ২য় তলায় তার প্রেমিকা রত্নাকে দিয়ে স্বপনকে ডেকে নেন তিনি। এরপর ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে রাখা জুস স্বপনকে পান করায় রত্না। স্বপন ঘুমিয়ে পড়লে তার মাথায় আঘাত করেন পিন্টু। বাথরুমে নিয়ে বটি দিয়ে মরদেহ ৭ টুকরো করেন। পরে বাজারের ব্যাগে করে মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেন পিন্টু।

মৃত স্বপন নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ কাচারীগলি এলাকার মৃত সোনাতন চন্দ্র সাহার ছেলে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
এএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।