এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের চূড়ান্ত শুনানির পর বুধবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি ভাবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতির মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
আদালতের দেওয়া এ রায়ের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ৮ মে রাতে অফিস শেষ করে রাত বাসায় ফিরতে গাড়ির জন্য অপেক্ষা কাওরান বাজার অপেক্ষা করছিলেন মিঠু। এসময় যাত্রী বহনের কথা বলে তাকে গাড়িতে তুলে নেয় ছিনতাইকারীরা। সাংবাদিক পরিচয় জেনে আসামীরা তাকে হত্যা করে। পরদিন মিঠুর মরদেহ তুরাগ থানার রোস্তমপুর এলাকার বেড়িবাঁধের ঢালে ফেলে রেখে যায় ছিনতাইকারীরা।
এদিকে রাতে বাসায় না ফেরায় মিঠুর ভাই রহমত উল-ইসলাম পরদিন দক্ষিণখান থানায় জিডি করেন।
পরে দক্ষিণখান থানা পুলিশ জানতে পারেন তুরাগ থানা এলাকার বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহ পড়ে আছে। এরপর পরিবার তার মরদেহ শনাক্ত করে।
ঘটনার ৫ দিন পর ১৩ মে ঢাকায় আসামি রতন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ঘটনা খুলে বলে। এর দু’দিন পর আরেক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গ্রেফতার হন অপর দুই আসামি মো. রাজু ও মো. সুজন।
তাদের জবানবন্দিতে উঠে আসে আরেক আসামি রাহাতের নাম। অবশ্য মামলার তদন্তকালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায় রাহাত।
২০১৩ সালের ২৬ ফব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত সেশন জজ (তৃতীয়) আখতারুজ্জামান তিন আসামিকে মৃত্যদণ্ড দেন।
এ রায়ের পর মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এদিকে আসামিরাও আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে বুধবার রায় দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
ইএস/এসএইচ