সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এ মামলার রায় দেবেন।
২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন ময়দানে সিপিবি’র মহাসমাবেশে বোমা হামলায় খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা কমরেড হিমাংশু মণ্ডল, খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার সিপিবি নেতা ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিক নেতা কমরেড আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরা থানার লতিফ বাওয়ানি জুটমিলের শ্রমিক নেতা কমরেড আবুল হাসেম ও মাদারীপুরের কমরেড মোক্তার হোসেন মারা যান।
বোমা হামলা প্রসঙ্গে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, উদীচীর সমাবেশে বোমা হামলার মধ্য দিয়ে এদেশে বোমা হামলার সূচনা হয়। এরপর পল্টনে সিপিবির সমাবেশে, রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা করা হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে দেশে একের পর এক বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। শেখ হাসিনার ওপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, এছাড়াও আওয়ামী লীগের আরও কয়েকটি সমাবেশে বোমা হামলা, দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা এসব একই সূত্রে গাঁথা।
বোমা হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে তিনি আরও বলেন, সিপিবি’র সমাবেশে বোমা হামলাকারীদের অনেকে এখন জীবিত নেই। দেশের স্বার্থে স্বাভাবিকভাবে এটাই কাম্য। এই মামলায় আমরা যেসব সাক্ষী প্রমাণ হাজির করেছি, সেই অনুযায়ী এই বোমা হামলার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।
জানা যায়, পল্টনের হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সিপিবি’র পক্ষ থেকে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনের সামনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র, যুব ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসমুহ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই কর্মসূচিতে অংশ নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
আরকেআর/এনটি