তাছাড়া ইজতেমার কারণে আসামিদের আদালতে হাজির না করায় ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বাংলানিউজকে বলেন, অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাসহ আরেকজনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য রোববার দিন ছিল।
তিনি আরও বলেন, সাক্ষ্য দিতে শাহবাগ থানার সঙ্গীয় ফোর্সের একজন সদস্য আদালতে এসেছিলেন। তবে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা চলায় এদিন আসামিদের হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তাই ওই সাক্ষীরও সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর এই মামলায় অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক অজয় রায়ের জবানবন্দি দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ পর্যন্ত মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের মোট ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমুম, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম, শফিউর রহমান ফারাবী, আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান। এদের মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম পলাতক।
গত ১৩ মার্চ আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর ১ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে অভিজিৎকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় পরে অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
কেআই/জেডএস