সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমান ও মোহাম্মদ জসিম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে তিন মামলায় ১০ দিন করে মোট ৩০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে বিমানবন্দর ও শেরে বাংলানগর থানা পুলিশ।
এর মধ্যে বিমান বন্দর থানায় জাল নোট উদ্ধারের মামলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমান শুরুতে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর শেরে বাংলানগর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো ও রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম দুই মামলায় পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনটি মামলাতেই পাপিয়ার সঙ্গে স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকেও সমান ১৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
তবে একইসঙ্গে গ্রেফতার হওয়া সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবাকে শুধু শেরে বিমানবন্দর থানার জাল টাকার মামলায় আসামি করায় তাদের পাঁচ দিন করেই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল, আজাদ রহমান ও হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন।
অপরদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চান আইনজীবী আতিকুর রহমান, ইলতুৎমিশ সওদাগর, কলিম মৃধাসহ কয়েকজন আইনজীবী। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি র্যাব-২ এর একটি দল পাপিয়া পিউকে আটক করে। এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন।
র্যাব জানায়, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। এই নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচতারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০/আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা
কেআই/জেডএস