সেই কাজের শুরুতেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে দায়সারাভাবে রাস্তা তৈরির অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (০১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লাকুরতলা ব্রীজ থেকে ভুতমারা ইটের ভাটা পর্যন্ত রাস্তাটি ঘুরে বিভিন্ন স্থানে নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করার সত্যতাও মিলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বাংলানিউজকে জানান, আমরা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করতে নিষেধ করেছি। কিন্তু শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে সংবাদকর্মীদের জানিয়েছি। আমাদের দাবী একটাই যাতে রাস্তাটির কাজ সুন্দর হয়। তাছাড়া খারাপ ইটগুলোকে সরিয়ে ভালো ইট দিয়ে রাস্তার কাজ করা হোক।
রাস্তা নির্মাণের কাজ পাওয়া ঠিকাদার ফরহাদ জোমাদ্দার জানান, রাস্তার পার্শ্বের কিছু গর্ত থাকার ফলে এসব জায়গায় নরম ইটের খোয়া দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ১৩৫ জন ঠিকাদারের টেন্ডারের অনুকূলে লটারির মাধ্যমে কাজটি আমি পেয়েছি। তবে রাস্তার কাজ কত কিলোমিটার করা হবে তা বলেননি তিনি।
বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরিচন্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. তানভীর আহম্মেদ সিদ্দিকী জানান, রাস্তার কাজের ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী যাতে সঠিকভাবে করা হয় সেজন্য শ্রমিকদের ইউনিয়ন পরিষদে থাকতে দিয়েছি। তাছাড়া যে রাস্তাটির কাজ হচ্ছে সেই রাস্তা সংলগ্ন আমার বাড়ি। তাই আমিও চাই আমার বাড়ির সামনের রাস্তাটির কাজ সুন্দর হোক। তাতে ইউনিয়নের জনগণের চলাচলে অনেক সুবিধা হবে বলেও জানান তিনি।
বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের নিয়ে ওই রাস্তাটি ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি জানান, রাস্তার কাজের ওয়ার্ক অর্ডারে এখনো সহি হয়নি। তাই আপনাদেরকে ওয়ার্ক অর্ডারের ডকুমেন্ট দিতে পারছি না। পাশাপাশি ঠিকাদার ফরহাদ জোমাদ্দারের পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, রাস্তার কাজের মান খারাপ না। আর যদি খারাপ হয়ে থাকে তাহলে রাস্তার যেকোনো স্থান থেকে ইট তুলে ল্যাবে নিয়ে পরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৯ ঘন্টা, মার্চ ০২, ২০২০
ওএফবি