মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দুপুরে জামালপুরের স্পেশাল জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ধানুয়াকামালপুর স্থলবন্দরের সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার মুখী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আছমত আলীর ছেলে মো. রফিকুল ইসলামকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
দুদকের স্পেশাল আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান রতন জানান, জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরে রাজস্ব ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ১০ লাখ ২২ হাজার ৪৫৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৩ সালের ৬ আগস্ট কাস্টমস কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ও ব্যবসায়ী মো. ইমারুল হকের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। দুদক তদন্ত করে ২০১০ সালের ১৫ জুন তাদের দুজনের বিরুদ্ধে ১৪ জন সাক্ষীর নাম দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
আদালতে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মো. রফিকুল ইসলামকে ৪০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছর কারাদণ্ড ৫ লাখ ১১ হাজার ২২৮ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর আসামি প্রো. মেসার্স শেরপুর ট্রেডার্সের মালিক মো. ইমারুল হককে (প্রকাশ ইমামূল হক) ১০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ ১১ হাজার ২২৮ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০
আরএ