বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য বুধবার (৪ মার্চ) এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
ফলে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার করা ঘুষের মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন গ্রহণ করে বিচারিক আদালতের আদেশ বহাল রইলো বলে জানিয়েছেন খুরশীদ আলম খান।
এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, বিচারপতি এস কে সিনহাকে অব্যাহতির সুপারিশের প্রতিবেদন গ্রহণ করে এবং বাদী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার না-রাজি পিটিশনের আবেদন দাখিলের জন্য সময়ের দরখাস্ত নামঞ্জুর করে গত ২২ জানুয়ারি আদেশ দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। সেই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান এস কে সিনহা।
পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে আসে। দীর্ঘ দেড় বছর তদন্ত করে সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে দুদকে।
এস কে সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি মর্মে গত ৪ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন প্রতিবেদন দাখিল করেন। অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশও করা হয় প্রতিবেদনে।
সেই প্রতিবেদন সম্প্রতি উপস্থাপন করা হলে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এস কে সিনহাকে গত ২২ জানুয়ারি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
এদিকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে উল্টো ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। সেই মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন নাজমুল হুদা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২০
ইএস/এএ