রোববার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে তারা জামিন পান। এখন তাদের মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে।
আদালত সূত্র জানা যায়, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম আদালতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোববার মোট ছয়টি মামলার আইনজীবীদের শুনানি নেন।
এ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইব্রাহীম হোসেন প্রতিটি শুনানিতে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
ভার্চ্যুয়াল আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হাসান আব্দুল কাইয়ুম এবং রাজশাহী বারের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম।
শুনানি শেষে ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় পাঁচ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগার থেকে মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে হাজতি আসামিদের জামিন শুনানির জন্য ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালু করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জরুরি জামিন সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা আসে সুপ্রিমকোর্ট থেকে।
এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতের আইডি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে বলা হয়।
এরপর রাজশাহীতে প্রথমে দু’টি ভার্চ্যুয়াল কোর্ট গঠন করা হয়। কিন্তু প্রযুক্তিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে অধিকাংশ আইনজীবী এতে আগ্রহ দেখাননি। পরে সভা করে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতি। এরই মধ্যে গঠিত সেই ভার্চ্যুয়াল কোর্টেই পাঁচ আসামির জামিন শুনানি করলেন রাজশাহী বারের একজন আইনজীবী এবং সুপ্রিমকোর্টের আরেক আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
এসএস/ওএইচ/