গত ১০ মে নিম্ন আদালতের ভার্চ্যুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এ বিষয়ে ওইদিন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।
এতে বলা হয়, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ছুটির সময়ে বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, বিশেষ জজ আদালতের বিচারক, সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা আদালতের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০ এবং উচ্চ আদালতের জারি করা বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ অনুসরণ করে শুধু জামিন সংক্রান্ত বিষয়গুলো ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
এরপর থেকে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি শুরু হয়। পরদিন কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালাতে এক আসামির জামিনের খবর আসে। পরে ১২ মে ১৪৪ জন, ১৩ মে ১ হাজার ১৩ জন, ১৪ মে ১৮২১ জন এবং ১৭ মে ৩৪৪৭ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সারাদেশে ৫৭৩০ মামলার শুনানি নিয়ে ৩৬৩৩ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নারী রয়েছে ১৩১ জন এবং শিশু রয়েছে ৪২ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২০
ইএস/ওএইচ/