গত ১০ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত এসময়ে চলা কার্যদিবসগুলোতে এসব আসামিকে জামিন দেওয়া হয়।
গত ১০ মে নিম্ন আদালতের ভার্চ্যুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
পরবর্তীতে গত ২৮ মে পর্যন্ত মোট ১০ কার্যদিবসে ২০ হাজার ৯৩৮ আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছিল। এসময় মোট ৩৩ হাজার ২৮৭টি আবেদনের নিষ্পত্তি করা হয়।
শনিবার (৬ জুন) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, সারাদেশে অধস্তন আদালতে ৩১ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে ১৪ হাজার ৩৪০টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি ও ৬ হাজার ৫৪২ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
গত ৯ মে ভার্চ্যুয়াল কোর্টের শুনানির জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পরদিন ১০ মে উচ্চ আদালতের সব বিচারপতিদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ফুল কোর্ট সভা করেন প্রধান বিচারপতি।
এরপর উচ্চ আদালতসহ অধস্তন আদালতে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তারপর থেকে উচ্চ আদালতসহ সারাদেশে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে বিচার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এরমধ্যে দফায় দফায় সাধারণ ছুটিরও মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মে’র পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে ভার্চ্যুয়াল বিচার কাজ অব্যাহত থাকবে ১৫ জুন পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২০
ইএস/আরবি/