সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী শিকদার মাহমুদুর রাজি ও মো. জহিরুল ইসলামের পক্ষে রোববার (৭ জুন) আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ২৯ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্ট এবং সব অধঃস্তন আদালতের স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
অর্ডিন্যান্সের আলোকে ভার্চ্যুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য গত ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট উচ্চ আদালত এবং অধঃস্তন আদালতের জন্য পৃথক পৃথক প্র্যাকটিস নির্দেশনা জারি করেন। প্র্যাকটিস নির্দেশনা অনুযায়ী অধঃস্তন আদালতকে শুধু জামিন শুনানির ক্ষমতা দেওয়া হয়।
গত ৩১ মে সুপ্রিম কোর্ট অধঃস্তন আদালতের জন্য আরেকটি নির্দেশনা জারি করেন। নির্দেশনায় আগের প্র্যাকটিস নির্দেশনা অনুসরণ করে অধঃস্তন আদালতগুলোকে অতীব জরুরি বিষয় শুনানির ক্ষমতা দেওয়া হয়।
কিন্তু কোন নির্দেশনায় বিভিন্ন আইনে মামলা এবং অন্যান্য দরখাস্ত দায়েরের তামাদির বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে কিছুই উল্লেখ নেই। উচ্চ আদালত থেকে এ সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। কিন্তু কিছু বার অ্যাসোসিয়েশন এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট, ১৮৮১ এর অধীনে মামলা দায়েরের নির্দেশনা দিয়েছেন। তারা মামলা দায়েরের ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশনা ( ই-মেইলে মামলা দায়ের, সশরীরে মামলা দায়ের, তামাদি মওকুফের আবেদন প্রভৃতি) দিচ্ছেন। এ সব নির্দেশনা বিচারিক ব্যবস্থায় অনিশ্চয়তা তৈরি করছে যা কাম্য নয়।
এমতাবস্থায় বিচারিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ন্যায় বিচারের সার্থে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা অতীব জরুরি বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২০
ইএস/ওএইচ/