সোমবার (৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আলম মামুন ভুইয়া এ আদেশ দেন। পল্টন থানায় মানবপাচার ও হত্যার অভিযোগে করা সিআইডির মামলায় তারা দুজন এজাহারনামীয় আসামি।
গত ৩ জুন এ দুজনকে চারদিন করে রিমান্ডে পাঠান আরেকজন বিচারক। সেই রিমান্ড শেষে সোমবার তাদের আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান।
গত ২ জুন সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) এএইচএম আবুল ফজল বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামি হিসেবে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- ভৈরবের তানজিমুল ওরফে তানজিদ, বাচ্চু মিলিটারি, নাজমুল, জোবর আলী, জাফর, স্বপন, মিন্টু মিয়া, হেলাল উদ্দিন, কুষ্টিয়ার কামাল হোসেন ওরফে হাজী কামাল, আলী হোসেন, শরীয়তপুরের সাদ্দাম, ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের কামাল হোসেন, মাদারীপুরের রাশিদা বেগম, নূর হোসেন শেখ, ইমাম হোসেন শেখ, আকবর হোসেন শেখ, বুলু বেগম, জুলহাস সরদার, আমির শেখ, নজরুল মোল্লা, কামরাঙ্গীরচরের শাহাদাত হোসেন, জাহিদুল শেখ, জাকির মাতুব্বর, আমির হোসেন, লিয়াকত শেখ ওরফে লেকু শেখ, গোপালগঞ্জের আব্দুর রব মোড়ল, কুদ্দুস বয়াতী, মাহবুবুর রহমান, সাহিদুর রহমান, কিশোরগঞ্জের হাজী শহীদ মিয়া, খবির উদ্দিন, মুন্নী আক্তার রূপসী ও লালন।
এর আগে লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা কামাল হোসেন ওরফে হাজী কামালকে (৫৫) ভাটারা থানার পাসপোর্ট আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। তিনিও এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
সম্প্রতি অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের সময় লিবিয়ার মিজদাহ শহরে ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা হয়েছে। এছাড়া ১১ বাংলাদেশি মারাত্মকভাবে আহত হন। ওই ঘটনা দেশ-বিদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২০
কেআই/ওএইচ/