বুধবার (১০ জুন) দুপুরে ওই গরুর হাটের জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিয়েছেন স্কুলের কর্তৃপক্ষ।
এর আগে আশুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত (৮ জুন) সোমবার এ আদেশ জারি করেন আদালত।
আশুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের ওই জমিতে হাট বসানোতে স্কুলের সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। একইসঙ্গে হাটের পাশে মাদকসেবীদের আনাগোনা বাড়ায় আদালতে বাজার বন্ধের আবেদন জানানো হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভার্চ্যুয়াল আদালতে শুনানি শেষে বাজার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৫০ বছর ধরে আশুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠের প্রায় ৩ দশমিক ২ একর জমিতে গরুর হাট বসানোর জন্য জমি দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে গরুর হাটটি লিজ নেন আশুলিয়া ইউনিয়ন এলাকার জসিম উদ্দিন মোল্লা পিন্টু নামে এক যুবক।
হাট বসানোর ইজারা নিয়েই ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে চাঁদা ওঠানো শুরু করে বলে অভিযোগ ক্রেতা-বিক্রেতাদের। পরে আশুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। পরে উচ্চ আদালত বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমিতে অবৈধভাবে গরুর হাট বসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আশুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সোয়েব খান বাংলানিউজকে বলেন, গরুর হাট চলাকালীন আমাদের স্কুল কার্যক্রমে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেসঙ্গে হাট থাকলে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হয়। বখাটে যুবকদের আনাগোনা দেখা যায় ফলে ছাত্রী স্কুলে আসতে চায় না।
এ ব্যাপারে হাটটির ইজারাদার পিন্টু মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, গরুর হাটটি বন্ধের ব্যাপারে আমার কাছে কোনো নোটিশ আসেনি। এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২০
এএটি