বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া এ দু’জন হলেন- ইনস্টিটিউটের ফার্মাসিস্ট নির্মল সরকার ও স্টোর ইনচার্জ বশির উদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১০ জুন) দুপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন দামের ইনজেকশন জব্দ করা হয়, যেগুলোর দাম প্রায় দেড় লাখ টাকা।
পরে তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী হয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও অসাধুভাবে চোরাইমাল গ্রহণের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪১১/১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
বৃহস্পতিবার সেই মামলায় আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দু’জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা শেরে বাংলানগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমএ বারী। শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান।
পরে এসআই এমএ বারী বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ অপরাধ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এর শিডিউলভুক্ত। তাই আসামিদের কারাগারে রাখার আবেদননের পাশাপাশি এ মামলার তদন্ত দুদকে স্থানান্তরের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছি। মামলার এফআইআরের একটি কপিও আমরা দুদকে পাঠানো হয়েছে। ’
দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি ওষুধ বিক্রির অভিযোগ ছিল। তাই বুধবার দুপুরে গোপনে হাসপাতালটিতে অবস্থান নেয় এনএসআইর একটি দল। একপর্যায়ে ওষুধ বিক্রির সময় সরকারি দেড় লাখ টাকার ওষুধসহ ফার্মাসিস্ট নির্মল সরকারকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তার সহযোগী স্টোর ইনচার্জ বশির উদ্দিন আহমেদকেও আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ২০০ পিস ক্লাক্সো ৬০ ইনজেকশন, ৩০ বক্স ক্লন্ট ৭৫ ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। এর বাজারমূল্য মূল্য আনুমানিক দেড় লাখ টাকা। তবে এসব ওষুধ মাত্র ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
কেআই/এফএম