বুধবার (২১ জুন) দুপুর ১টায় দিঘলিয়া থানায় তারা আত্মসমর্পণ করেন। আসামিরা হলেন- সোহাগ শেখ, সেলিম শেখ, জুয়েল শেখ, লুৎফর শেখ ও আব্দুল্লাহ মোল্লা।
এর আগে জালিয়াতি করে জামিন নেওয়ার অভিযোগে খুলনার দিঘলিয়ার টিপু শেখ হত্যা মামলার পাঁচ আসামির জামিন গত বুধবার (১০ জুন) বাতিল করে উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে তারা যদি জামিনে বেরিয়ে যান তাহলে সাতদিনের মধ্যে পাঁচ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে আইনজীবীকে শোকজ করা হয়েছে। আর তারা যদি আত্মসমর্পণ না করে তাহলে তাদের গ্রেফতারে খুলনা জেলা পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তাদের পক্ষে লড়াই করা আইনজীবী আর ভার্চ্যুয়াল কোর্টে আপাতত মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না।
বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের নজরে আনার পর বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ রোববার দুপুর ২টায় বাংলানিউজকে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর পুলিশ আসামিদের ধরতে তৎপর হয়। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালালে আসামিরা ভয়ে তটস্থ হয়ে রোববার দুপুর ১টায় থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার পরবিলার টিপু শেখকে অতর্কিত হামলা করে খুন করা হয়। পরে তার ছেলে আলমগীর শেখ থানায় মামলা দায়ের করেন।
আলমগীর শেখের এজাহার অনুসারে জানা যায়, ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় খুলনার দিঘলিয়া থানার পরবিলার টিপু শেখকে গাজীরহাট বাজারের পাশে কাঠালতলা ভ্যানস্ট্যান্ডে দিনের বেলায় ৩২ আসামিসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৮/১০ জন আসামি অতর্কিত হামলা করে। আসামিরা তার বাবার মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে উল্লাস করে চলে যান। পরে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা দেন।
এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ৩২ আসামির মধ্যে পাঁচ আসামি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। গত ১৮ মে ভার্চ্যুয়াল আদালত তাদের নিয়মিত আদালত খোলা হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন। তাদের আইনজীবী ছিলেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
এমআরএম/আরবি/